শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন প্রশ্নে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও আন্দোলনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ।
গত ৯ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে গঠিত একটি সরকার এবং অনেকগুলো সংস্কারের কথা আমরা বলেছি- সেগুলো আমাদেরকে করতে হবে।
মেয়াদ যতদিনই হোক এক পর্যায়ে এসে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে উল্লেখ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়ক।
আসিফ মাহমুদ বলেন, সেটা যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি সুন্দর সুশৃঙ্খল ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এই সরকারের মেয়াদ শেষ করব।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ নেন। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ ১২ জন উপদেষ্টা শপথ নেন। পরে ৯ আগস্ট আসিফ মাহমুদকে ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১২৩(৩)(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্বের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ১২৩(৩)(খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, মেয়াদ অবসান ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থাকে ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
৫ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে তার সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে মত দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচনের পর গঠিত সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়া হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়সীমা তারা নিজেরাই নির্ধারণ করবে। অর্থকণ্ঠ ডেস্ক