অনেকেই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে পারেন না; ফলে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। সেক্ষেত্রে আহাদ অ্যান্ড কোং সিপিএ ব্যতিক্রম। এ প্রতিষ্ঠানের সিইও অ্যান্ড ফাউন্ডার আহাদ আলী সিপিএ ট্যাক্স, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ক্ষেত্রে সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। এর কারণ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) আহাদ আলী শিক্ষিত, দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ট্যাক্স ল’ইয়ার। তিনি ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
আহাদ অ্যান্ড কোং সিপিএ দীর্ঘ সময় ধরে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ট্যাক্স বিষয়ক কার্যক্রম বিশেষ করে ট্যাক্স, ট্যাক্স রিফান্ড, WMR রিফান্ড, ট্যাক্স এক্সপার্ট, ট্যাক্স প্রফেশনাল, ট্যাক্স সহায়তা, ট্যাক্স হ্যাকস, ট্যাক্স নিউজ, ট্রেন্ডিং করে আসছে। ফলে গ্রাহকদের কাছে আহাদ অ্যান্ড কোং সিপিএ-এর ট্যাক্স বিষয়ক কার্যক্রম মানেই উন্নত মানের সেবা।ট্যাক্সের মতো কঠিন প্রক্রিয়াকে আয়কর আইনজীবী আহাদ আলী সহজ করে দিতে পারেন। আয়কর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আহাদ আলী ২০১০ সালে ইনফরমেশন টেকনোলজি হাইস্কুল থেকে স্কুল পর্যায় শেষ করেন। এরপর তিনি ২০১৪ সালে CUNY Baruch স্কুল থেকে অ্যাকাউন্ট্যান্সিতে ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশের সিলেট জেলার এক শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত বংশের সন্তান আহাদ আলী বর্তমানে নিউ ইয়র্কের Bronx শহরের স্থায়ী বাসিন্দা।
আহাদ আলী সিপিএ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের অনলাইনে ট্যাক্স বিষয়ক পরামর্শ ও সেবা প্রদান করেন। এ জন্য তিনি Tax Help for Small Business and Entrepreneur গ্রুপ খুলেছেন, যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৫৯ জন। তিনি গ্রীন কার্ড প্রত্যাশীদের জন্য EB3 Visa বিষয়ক সেমিনার আয়োজন করেন; এর মাধ্যমে প্রচুর মানুষ উপকৃত হয়।
আহাদ আলী সিপিএ আহাদ অ্যান্ড কোং সিপিএ প্রতিষ্ঠার পূর্বে Kapitus-এ সিনিয়র অ্যাকাউন্টেন্ট এবং Cohnre3nick LLP তে সিনিয়র অডিট অ্যাসোসিয়েট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আহাদ আলী বিবাহিত। তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে প্রথম গ্রেডের ছাত্রী। সে তার বাবাকে প্রতি রাতেই নিজের বই থেকে পড়ে শোনায়। বাবা আহাদ আলী মেয়ের এই অধ্যয়ন পরিক্রমায় দারুণ খুশি। তিনি ট্যাক্স বিষয়ক আইনজীবী হলেও খেলাধুলার ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের প্রায় খেলাই তিনি টিভি মিডিয়ার মাধ্যমে আগ্রহের সাথে দেখেন। শুধু তিনি নন তাঁর শিশু সন্তানরাও বাংলাদেশিদের ক্রিকেট খেলা দেখে দারুণ আনন্দ লাভ করে।
ট্যাক্স ল’ইয়ার আহাদ আলী সাধারণ মানুষ বিশেষ করে বাংলাদেশি আমেরিকানরা যাতে ট্যাক্স বিষয়ে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা জরিমানার সম্মুখীন না হয় এ ব্যাপারে সহায়তা দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কুইন্স ইউএসবিসিসিআইয়ের রিয়েল এস্টেট এক্সপো- তে তিনি অসংখ্য মানুষকে বাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিভাবে ঝুঁকিমুক্ত ট্যাক্স ব্যবহারের মাধ্যমে তা ক্রয় করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ দেন। এই কাজকে তিনি সেবা মনে করেন। তিনি বলেন- সেবা দেয়া মানে মানুষের উপকার করা।
সাম্প্রতিক সময়গুলোতে তিনি নিয়মিতভাবে যারা যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি ভিসা প্রত্যাশী তাদের উদ্দেশে সেমিনারে বক্তব্য দেন। তিনি খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেন ‘স্কিলড’ অ্যান্ড ‘নন- স্কিলড’রা কোন কোন প্রক্রিয়ায় ভিসা পেতে পারেন। তিনি বলেন, সময় আসছে যে ৫ বছর পর তারা সিটিজেনশিপ-এর জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন। আয়কর বিশেষজ্ঞ আহাদ আলী সিপিএ মনে করেন, প্রত্যেক দেশের নাগরিকদেরকেই আয়কর বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত এবং স্বচ্ছতার সাথে তা পরিশোধ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, অনেকেই আয়করের বিষয় সম্পর্কে ভালোমতো না জানায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। কখনো কখনো জরিমানাও গুনতে হয়। এজন্য আয়কর আইনজীবীর নিকট পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
আহাদ আলী সিপিএ মানবিক গুণসম্পন্ন এবং পরোপকারী। মানুষের কল্যাণে তিনি সব সময় নিবেদিতপ্রাণ।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও নিজের দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক গর্ব তাঁর। তিনি মনে করেন, জাতি হিসেবে আমাদের ঐতিহ্য অনেক। আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ পরিশ্রমী। বিশ্বের দেশে দেশে আজ বাঙালিরা বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। দেশ উন্নয়নের দিকে ধাবমান। পদ্মা সেতু হয়েছে। গভীর সমুদ্র বন্দর রয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। দেশ আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়। বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা প্রবাসীরা গর্বিত। কিন্তু সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশের মানুষ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আয়কর বিশেষজ্ঞ আহাদ আলী সিপিএ বলেন, আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিরা চাই দেশের সকল ক্ষেত্র দুর্নীতিমুক্ত হোক। প্রতিটি কাজ পরিচালিত হোক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার ভিত্তিতে। তাহলেই দেশটির মর্যাদা অনেক বেড়ে যাবে। অর্থকণ্ঠ প্রতিবেদক