মোহা: সাহিদুজ্জামান টরিক; প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবচাইতে বড় প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল সংগঠন ‘এনআরবি ওয়ার্ল্ড’-এর প্রেসিডেন্ট। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম)-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী এই প্রবাসী বাংলাদেশি একজন সফল ব্যবসায়ী। সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তিনি। সিঙ্গাপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যতম শীর্ষ কমিউনিটি লিডার তিনি- দায়িত্ব পালন করেছেন সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও। সাহিদুজ্জামান টরিকের জন্ম বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলায়। গত দশ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গার শীর্ষ রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে পুরস্কৃত হয়ে আসছেন তিনি। জনাব সাহিদুজ্জামান তাঁর ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উপার্জনের প্রায় ২০ শতাংশ অর্থ সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করেন।
মোহা: সাহিদুজ্জামান সম্প্রতি বিজনেস ম্যাগাজিন অর্থকন্ঠকে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে এনআরবি ওয়ার্ল্ডের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
অর্থকন্ঠ : আপনারা বলছেন এনআরবি ওয়ার্ল্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম বা সংগঠন। এ ধরনের দাবির পেছনে যুক্তি কি?
সাহিদুজ্জামান : বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের তিন হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি ইতিমধ্যে এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর সাথে যুক্ত হয়েছেন। দেশ এবং সদস্য সংখ্যা দেখে নিশ্চয়ই আপনি আমাদের সংগঠনের ব্যাপকতা অনুধাবন করতে পারছেন। নিশ্চিতভাবে বর্তমানে এটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। আমরা শুধু ৫০টি দেশেই থেমে থাকছি না; আরও অনেক দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। অচিরেই দেশ এবং সদস্য সংখ্যা দুটোই বাড়বে। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর ছাতার নিচে নিয়ে আসা।
আরেকটা কথা বলতে চাই- দেখুন, বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন রয়েছে। যেমন আমেরিকায় আছে, সিঙ্গাপুরে আছে, ইংল্যান্ড ও জাপানে আছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছে; এভাবে প্রায় প্রতিটি দেশেই যেখানে বাংলাদেশিরা অবস্থান করছেন সেখানে প্রবাসীদের সংগঠন গড়ে উঠেছে। খেয়াল করলে দেখা যায় সেসব সংগঠনের প্রতিটি কিন্তু নির্দিষ্ট দেশভিত্তিক অর্থাৎ আমেরিকার হলে আমেরিকা, কানাডার হলে কানাডাভিত্তিক। অন্যদিকে এনআরবি ওয়ার্ল্ড হচ্ছে বৈশ্বিক সংগঠন। পৃথিবীর সবদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে আমাদের এই সংগঠন। আমরা কাজও করবো সবাইকে নিয়ে। আমাদের ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিও তৈরি হয়েছে সেভাবেই। আমি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি, আমি সিঙ্গাপুরে বসবাস করি। আমাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আইয়ুব আলী। তিনি থাকেন দুবাইয়ে। এভাবে প্রায় ৩০টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে কমিটিতে।
অর্থকন্ঠ : বিভিন্ন সময় এ ধরনের নানা সংগঠন হতে দেখি যার বেশির ভাগই একসময় নামসর্বস্ব সংগঠনে পরিণত হয় কিংবা অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বিভাজিত হয়ে যায়। আপনারা কীভাবে ব্যতিক্রম হবেন?
সাহিদুজ্জামান : এনআরবি ওয়ার্ল্ড সম্পূর্ণভাবে একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক এবং প্রধানত দেশসেবামূলক সংগঠন। আমাদের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মেধা, দক্ষতা এবং বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখা। আমরা ‘দেশ ও প্রবাসের সেতুবন্ধন’ হিসেবে কাজ করবো। এখানে ব্যক্তিস্বার্থ কিংবা লাভের বিষয় নেই বললেই চলে, ফলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব হওয়ারও সুযোগ নেই। তাছাড়া আপনি যেমনটা বললেন, অন্য সংগঠনগুলোর পরিণতি থেকেও আমরা শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাব।
অর্থকন্ঠ : এ ধরনের একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম করার ধারণাটি কিভাবে আপনাদের মাথায় এলো?
সাহিদুজ্জামান : এনআরবি ওয়ার্ল্ড ২০২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তবে আমাদের পথচলা শুরু আরও এক দশক আগে থেকে। ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে ‘ওয়ার্ল্ড বিজনেস সামিট’ আয়োজন করার মধ্য দিয়ে মূলত এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর মতো একটি সংগঠন তৈরির ধারণা আমাদের মাথায় আসে। এরপর একই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে, ২০১৮ সালে আমেরিকায়, ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ২০২১ সালে দুবাইয়ে সফলভাবে আরও চারটি ওয়ার্ল্ড বিজনেস সামিট আয়োজন করা হয়।
এরপর ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর এনআরবি ওয়ার্ল্ডের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ‘এনআরবি প্রফেশনালস সামিট’। আন্তর্জাতিক মানের এই সামিটে প্রবাসীরা কিভাবে দেশের উন্নয়নে কার্যকর এবং অর্থবহ ভূমিকা রাখতে পারেন সে বিষয়ে উল্লেখযোগ্য দিক-নির্দেশনা এবং ঐকমত্য তৈরি হয়।
অর্থকন্ঠ : এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইছি।
সাহিদুজ্জামান : এনআরবি ওয়ার্ল্ডের ব্যানারে আমরা ঢাকায় এনআরবি সামিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই সামিটে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে প্রবাসী ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তারা যেমন থাকবেন তেমনি থাকবেন- খ্যাতিমান প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষকসহ সব সেক্টরের আমন্ত্রিত ব্যক্তিগণ। এই সামিটে দেশের নীতি-নির্ধারকসহ ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তারাও অংশ নেবেন।
এই সামিটের মাধ্যমে আমরা দেশ ও প্রবাসের মধ্যে একটি মেলবন্ধনের সূচনা করতে চাই। বাড়াতে চাই পারস্পরিক যোগাযোগ। অনেক প্রবাসী আছেন যারা মাতৃভূমি বাংলাদেশের উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখতে চান। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সেই সম্ভাবনার খাতগুলো উন্মোচন করা।
অর্থকন্ঠ : এনআরবি ওয়ার্ল্ড কি শুধু মেলবন্ধনের কাজই করবে নাকি আপনাদের কাজের পরিধি এর বাইরেও থাকবে?
সাহিদুজ্জামান : এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর প্রধানতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবী আছেন তাদেরকে সরাসরি দেশের উন্নয়নে যুক্ত করার প্রয়াস চালানো। পরস্পরের সাথে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক স্থাপনও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আমরা তাদের সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকারের বিষয় নিয়েও কাজ করবো। মূলত এনআরবি ওয়ার্ল্ড বিশ্বজুড়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুখপাত্র হতে চায়।
প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও অন্যান্য প্রফেশনালদের সঙ্গে দেশের নীতি-নির্ধারক এবং উদ্যোক্তাদের সেতুবন্ধন যেমন আমরা তৈরি করবো একই সাথে বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ও উদ্বুদ্ধ করতেও কাজ করবে এনআরবি ওয়ার্ল্ড। পাশাপাশি প্রবাসীদের বিনিয়োগ যাতে নিরাপদ এবং অর্থবহ হয় তা নিশ্চিতেও কাজ করবো আমরা। এছাড়া বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের পজিটিভিটি ব্র্যান্ডিংয়ের কাজ করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
অর্থকন্ঠ : আপনারা প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করবেন। কিন্তু বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে গেলেও নানা ধরনের সমস্যা ও সংকটের মুখোমুখি হতে হয় বলে একটা কথা প্রচলিত আছে, যার কেতাবি নাম ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতা’। সেক্ষেত্রে কিভাবে উদ্বুদ্ধকরণের কাজটি করবেন আপনারা?
সাহিদুজ্জামান : বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অবস্থান করছেন সেসব দেশে বিনিয়োগ বা অন্যান্য কাজে জটিলতা নেই বললেই চলে। ওইসব দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রো পিপল। কিন্তু আমাদের দেশে পরিস্থিতি ভিন্ন। বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিভিন্ন ধাপে যেসব জটিলতা এবং চ্যালেঞ্জ আছে সেসব দূর করতে বর্তমান সরকার যাতে উদ্যোগ নেয় সে বিষয়েও কাজ করবো আমরা। প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সাপোর্ট ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবো। আগেই বলেছি, প্রবাসী বাংলাদেশি প্রফেশনালদের জন্য পরামর্শকের কাজও করবে এনআরবি ওয়ার্ল্ড। একজন প্রবাসীর যে ধরনের সাপোর্টের প্রয়োজন হবে- সেসব আমরা নিশ্চিত করবো।
অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবী আছেন যারা নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু কোথায়, কিভাবে, কিসে বিনিয়োগ করা সঠিক এবং লাভজনক হবে সে সম্পর্কে তাদের তেমন ধারণা নেই। অনেক ক্ষেত্রে তারা প্রতারিত কিংবা আর্থিক ক্ষতিরও মুখোমুখি হন। এনআরবি ওয়ার্ল্ড এ ক্ষেত্রে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
অর্থকন্ঠ : আপনি বলছিলেন এনআরবি ওয়ার্ল্ড ‘ব্রেইন ড্রেইন’কে ‘ব্রেন গেইন’-এ পরিণত করতে কাজ করবে। বিষয়টি নিয়ে যদি আরেকটু বিস্তারিত বলেন।
সাহিদুজ্জামান : এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর অন্যতম প্রধান একটি লক্ষ্য হচ্ছে ‘ব্রেইন ড্রেইন’কে ‘ব্রেন গেইন’-এ পরিণত করা। অর্থাৎ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদসহ বিভিন্ন পেশার যেসব মেধাবী বাংলাদেশি স্বদেশ ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করেছেন, নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের শীর্ষে উঠেছেন তাদের মেধাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো। এক্ষেত্রে তিন ধাপে কাজ করবে এনআরবি ওয়ার্ল্ড। প্রথমত, এ ধরনের অভিজ্ঞ এনআরবি প্রফেশনালদের মাধ্যমে দেশের তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা। দ্বিতীয়ত, সেসব দক্ষ জনশক্তিকে দেশে এবং দেশের বাইরে ভালো কাজ পেতে সহযোগিতা করা। তাদেরকে নানা ধরনের গাইডলাইন দেওয়া।
তৃতীয়ত, সরকারসহ দেশের অনেক ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী আছেন যাদের ব্যবসায়িক কারণে পরামর্শক এবং টেকনিক্যাল এক্সপার্ট প্রয়োজন হয়। সরকারও তার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন সেক্টরের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট নিয়োগ করে। যার অধিকাংশই বিদেশি। এই ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে চায় এনআরবি ওয়ার্ল্ড। স্ব-স্ব ক্ষেত্রের প্রবাসী বাংলাদেশি এক্সপার্টদের সঙ্গে দেশের ব্যবসায়ী এবং সরকারি নীতি-নির্ধারকদের সংযোগ ঘটিয়ে দেওয়ার কাজ করবে এনআরবি ওয়ার্ল্ড। প্রবাসে অনেক দক্ষ ও যোগ্য পেশাজীবী আছেন যারা হয়তো চাকরিজীবন শেষে অবসরজীবন যাপন করছেন কিন্তু কর্মক্ষম। তাদেরকে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসূত্র ঘটিয়ে দেওয়া সম্ভব হলে তারাও যেমন উপকৃত হবেন তেমনি দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে।
অর্থকন্ঠ : আপনারা দেশের নীতি-নির্ধারক তথা সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন। আপনাদের এই উদ্যোগে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সাহিদুজ্জামান : আমাদের প্রধান লক্ষ্য দেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখা। পাশাপাশি মেধাবী এবং বিনিয়োগকারী প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা। এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাভাবিকভাবেই সরকারের তরফ থেকে সাধুবাদ জানানোর কথা। দেশের ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা মহলও আমাদের এই উদ্যোগের সাথে আছেন।
অর্থকন্ঠ : এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর সদস্যদের প্রায় সবাই প্রবাসে থাকেন। প্রবাসে অবস্থান করে দেশের সাথে সমন্বয়ের কাজটি কিভাবে সম্ভব হবে! দূরত্ব তো এক্ষেত্রে একটি বড় বাধা।
সাহিদুজ্জামান : এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর নির্বাহী কমিটির সদস্যরা যেহেতু প্রবাসী সেজন্য দেশের দৈনন্দিন বিষয়গুলোর সমাধান করার লক্ষ্যে আমরা এনআরবি ওয়ার্ল্ড-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টার করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হবে। যারা প্রবাসী উদ্যোক্তাসহ অন্য যাদের অ্যাডভোকেসিসহ অন্যান্য সহযোগিতার প্রয়োজন হবে সেসব নিশ্চিত করবেন।
অর্থকন্ঠ : আপনাদের কি অনলাইনভিত্তিক কোনো কার্যক্রম থাকবে?
সাহিদুজ্জামান : বর্তমান যুগ হচ্ছে অনলাইনের যুগ। ইতিমধ্যে এনআরবি ওয়ার্ল্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ তৈরি করেছি। ওয়েবসাইটে আমাদের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম-পরিচয় আপডেট করা হয়েছে। অতি দ্রুত বিশ্বব্যাপী আমাদের যত সদস্য আছে তাদের সবার নাম-পরিচয়ও সেখানে যুক্ত করা হবে। পাশাপাশি ওয়েবসাইটে আমাদের সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং দেশভিত্তিকভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগের উপায় দেয়া আছে। আগামীতে দেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধকরণসহ নানা বিষয়ের সন্নিবেশ ঘটানো হবে আমাদের ওয়েবসাইটে। যা থেকে আগ্রহী প্রবাসীরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাপক ধারণা পাবেন।